Welcome To The Explore The Truth
Thursday, June 27, 2019
Wednesday, June 26, 2019
Tuesday, June 25, 2019
এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য সম্ভাব্য তিনটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২০, ২১ বা ২২ জুলাই এর যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশের অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর পক্ষ মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা খবর প্রকাশ করেছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত তিনটি তারিখের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সুবিধা মতো যেদিন সময় দিতে সম্মতি দেবেন, সেদিন ফল প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ১ এপ্রিল শুরু হয়। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়।
সূত্রঃ সময় সংবাদ।
Friday, May 17, 2019
চরমোনাই পীরের ভাইয়ের মাদ্রাসায় ছাত্রী ধর্ষিত!
অনলাইন ডেস্ক:: সীমা বেগম। বয়স ৩২। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ঢাকার আদালত পাড়ায় ঘোরাঘুরি করছেন। প্রায় সময় তার চোখে জল দেখা যেত। তাকে আদালতে দেখে কথা বলার কৌতূহল জাগে। আদালতে কেন ঘোরাঘুরি করছেন জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে মুবারর মুনতাহা ওরফে সানজিদা রশিদ মীম (১৪) রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসায় নাজরানা শ্রেণিতে পড়তো। দেখতে খুব সুন্দর ছিল। মাদরাসায় আবাসিক ব্যবস্থা থাকায় সেখানে থাকতো। সে দেখতে সুন্দর হওয়ায় মাদরাসার হুজুরেরা তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বছরের অক্টোবর মাসে হুজুরেরা তাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিচার পাওয়ার আশায় আদালত পাড়ায় ঘোরাঘুরা করছি। আসামিরা খুব প্রভাবশালী। তাদের প্রচুর টাকা রয়েছে। তারা টাকা দিয়ে সবকিছু নিজের মতো করে নিচ্ছে। জানি না মেয়ে হত্যার বিচার পাবো কিনা! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন আমার মেয়ের হত্যাকারীদের যেন বিচার হয়।’
তিনি বলেন, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মাদরাসার আবাসিক হলে আমার মেয়েকে হুজুরেরা ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তা আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। তার পায়ের নিচে কাটা দাগ ছিল। কোমরের নিচে ছিল আঘাতের চিহ্ন। মাথা ছিল স্বাভাবিক। যদি সে ফাঁস দিয়ে মারা যেতে তাহলে কেন তার পায়ের নিচে কাটা দাগ থাকবে। কোমরের নিচে কেন আঘাতের চিহ্ন থাকবে? আর মাথাইবা কেন স্বাভাবিক থাকবে?।
‘হুজুরেরা নিজেরা বাঁচার জন্য আমার মেয়ের পায়ের নিচে অন্যের হাতের লেখা একটি চিরকুট ফেলে রাখে। চিরকুটে আবাসিক শিক্ষিকা তাসলিমার নাম লেখা হয়’-যোগ করেন সীমা বেগম।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকার লেনদেন
সীমা বেগম বলেন, আমার মেয়ের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তাদের পক্ষে করার জন্য ডাক্তারকে আমার সামনে দুই লাখ টাকা দিয়েছে। আমি তার বাস্তব স্বাক্ষী। এছাড়া পুলিশকেও তারা অনেক টাকা দিয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় অনেক টাকা খরচ করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যেন এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করি সে জন্য অন্যের মাধ্যমে আমাদের ৫০ লাখ টাকা দিতে প্রস্তাব দিয়েছে। আমি বলেছি, ‘আমার টাকার প্রয়োজন নেই, মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
মাদরাসার পরিচালকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সানজিদা রশিদ মীমকে ধর্ষণ করে হত্যা করার অভিযোগে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম ওরফে মোস্তাক আহম্মেদসহ (৫৫) আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মা সীমা বেগম।
ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ৭ নভেম্বর এই মামলাটি করা হয়। মামলায় ধারা দেওয়া হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (৩)/৩০। আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-মাদরাসার পরিচালকের ছেলে হামীম মিয়া (৩১), মাদরাসার শিক্ষা সচিব হোসাইন আহম্মেদ (৩২), প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ (৩২), মাদরাসার দারোয়ান আবুল (৪৫) কালাম, মহিলা শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তর নিপা (২৬), বুয়া রওশন আরা (৪০) ও রামপুরা আবু সাঈদ রেস্তোরাঁর মালিক আব্দুল আজিজ আকন্দ (৫৯)।
মামলার অভিযোগে সীমা বলেন, আমার মেয়ে সানজিদা রশিদ মীমকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর/অক্টোবর মাসে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করাই। মাদরাসায় আবাসিক ব্যবস্থা থাকায় মীম সেখানে থেকে পড়ালেখা করতো। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার মেয়েকে প্রতিদিনের মতো খাবার দিতে গেলে ৬ জন শিক্ষক আমাকে আমার মেয়ের সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলে। মেয়ে কোথায় জানতে চাইলে তারা বলে, ‘সে পড়ালেখা করছে।’ তাদের কথায় সন্দেহ হলে আমার স্বামীকে খবর দেই। বেলা ১১টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ আসে। পুলিশের সঙ্গে মামলার সাক্ষীরা ছাদে গেলে দেখতে পাই আমার মেয়ের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় এবং পা ছাদের ফ্লোরের সঙ্গে লাগানো। সাক্ষীরা পুলিশের নির্দেশে আমার মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ছাদের ফ্লোরে নামান। সাক্ষীরা ঝুলানো অবস্থা থেকে মৃত কন্যাকে নামানোর পর তার দুই হাতের কজ্বিতে কালো দাগ, পায়ের নিচে কাটা, রক্তাক্ত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধস্তাধস্তির কারণে জখমের চিহ্ন দেখেতে পাই।
আমার স্বামী মেয়ের লাশ আনতে হাতিরঝিল থানায় গেলে পুলিশ সারাদিন তাকে থানায় আটকে রাখে। মেয়ের লাশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে একটি কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেয়। এই বিষয়ে কোনো বাড়াবাড়ি না করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপস করার জন্য হুমকি দেয় পুলিশ। হত্যার বিষয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ বলে, ‘আমার স্বামী ইতোপূর্বে মামলা করেছেন।’ কোর্টে গিয়ে তার খবর নিতে বলে। কোর্টে গিয়ে দেখি মেয়ের মৃত্যুর বিষয়ে শুধুমাত্র তাছলিমা বেগমের নামে মামলা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তাছলিমা আক্তার নিপার বিরুদ্ধে সানজিদা রশিদ মীমকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেয়ার বিষয় সাক্ষ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় করা একটি মামলা বিচারাধীন। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর হামিম মিয়া নামে কোনো ব্যক্তিকে বাস্তবে পাওয়া যায়নি।
কোমরের পাশে দাগ ছিল, অন্যসব ছিল স্বাভাবিক
মীমের মৃত্যুর পর সুরতহাল করেন হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম। রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, সানজিদা রশিদ মীমের লাশ মাদরাসার পাঁচ তলার টিনশেটের সঙ্গে কমলা রঙয়ের ওড়নার দ্বারা ফাঁস লাগানো অবস্থায় পায়ের পাতা রুমের ফ্লোরে লাগানো অবস্থায় পাই। বুক, পেট ও পীঠ স্বাভাবিক ছিল। কোমরের ডান পাশে দাগ পরিলক্ষিত হয়। হাত ও মলদ্বার স্বাভাবিক ছিল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জিএম মিজানুর রহমান বলেন, মীমের লাশটির পা মেঝেতে লাগানো ছিল! ফ্লোরের সঙ্গে পা লাগানো থাকলে ফাঁস কীভাবে লাগাবে? আত্মহত্যাকারীদের মাথা সাধারণত একদিকে বাঁকা হয়ে হয়ে যায়। তার মাথা ছবিতে দেখা যায়, স্বাভাবিক মানুষের মতোই ছিল। বাদীর সামনে ঢাকা মেডিকেলে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসামির পক্ষে করার জন্য টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট সময় মতো না পাওয়ায় এবং তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভিকটিম মীমের লাশ পুনরায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব নয়। কারণ এতদিনে মৃতের লাশটি পচে গেছে। তাই পুনরায় ময়নাতদন্ত করে আর কিছু পাওয়া যাবে না। এভাবে হত্যাকাণ্ড আত্মহত্যা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আমরা নারাজি দেবো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, এ বিষয় আমি আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছি। আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা ইচ্ছা করলে প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিতে পারবেন।
মীমের বাবা হারুন মোল্লা বলেন, আমার মেয়েকে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার হুজুরেরা ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে। তাদের অনেক টাকা। তারা টাকা দিয়ে সব নিজের মতো করে নিয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
তিনি বলেন, আমি থানায় কোনো মামলা করিনি। কন্যার লাশ নেওয়ার জন্য পুলিশ জোর করে আমার কাছে থেকে স্বাক্ষর নেয়। এ বিষয় কোনো বাড়াবাড়ি না করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপস করার জন্য পুলিশ হুমকি দেয়।
সীমা বেগম বলেন, মাদরাসার পরিচালকের ছেলে হামীম মিয়া। ধর্ষণের মূল হোতা সে। ঘটনার পর তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। আমরা জড়িত নই বলে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়েছে। আর হামীম মিয়া নামে আমার কোনো ছেলে নেই।
উল্লেখ্য, রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসাটি ১৯৯২ সালে স্থাপিত হয়। এখানে বর্তমানে মাদরাসা সিলেবাসে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত এবং অন্যান্য জামাআতে পড়ানো হয়। এতে মক্তব, হিফজ ও কিতাব বিভাগ আছে। মাদরাসায় বর্তমানে ৭৮০ জন আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রী, ৪৫ জন শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারী আছে।
বর্তমানে মাদরাসাটি পরিচালনা করছেন চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম।
সূত্র জাগো নিউজ।
তিনি আরও বলেন, ‘বিচার পাওয়ার আশায় আদালত পাড়ায় ঘোরাঘুরা করছি। আসামিরা খুব প্রভাবশালী। তাদের প্রচুর টাকা রয়েছে। তারা টাকা দিয়ে সবকিছু নিজের মতো করে নিচ্ছে। জানি না মেয়ে হত্যার বিচার পাবো কিনা! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন আমার মেয়ের হত্যাকারীদের যেন বিচার হয়।’
তিনি বলেন, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মাদরাসার আবাসিক হলে আমার মেয়েকে হুজুরেরা ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তা আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। তার পায়ের নিচে কাটা দাগ ছিল। কোমরের নিচে ছিল আঘাতের চিহ্ন। মাথা ছিল স্বাভাবিক। যদি সে ফাঁস দিয়ে মারা যেতে তাহলে কেন তার পায়ের নিচে কাটা দাগ থাকবে। কোমরের নিচে কেন আঘাতের চিহ্ন থাকবে? আর মাথাইবা কেন স্বাভাবিক থাকবে?।
‘হুজুরেরা নিজেরা বাঁচার জন্য আমার মেয়ের পায়ের নিচে অন্যের হাতের লেখা একটি চিরকুট ফেলে রাখে। চিরকুটে আবাসিক শিক্ষিকা তাসলিমার নাম লেখা হয়’-যোগ করেন সীমা বেগম।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকার লেনদেন
সীমা বেগম বলেন, আমার মেয়ের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তাদের পক্ষে করার জন্য ডাক্তারকে আমার সামনে দুই লাখ টাকা দিয়েছে। আমি তার বাস্তব স্বাক্ষী। এছাড়া পুলিশকেও তারা অনেক টাকা দিয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় অনেক টাকা খরচ করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যেন এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করি সে জন্য অন্যের মাধ্যমে আমাদের ৫০ লাখ টাকা দিতে প্রস্তাব দিয়েছে। আমি বলেছি, ‘আমার টাকার প্রয়োজন নেই, মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
মাদরাসার পরিচালকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সানজিদা রশিদ মীমকে ধর্ষণ করে হত্যা করার অভিযোগে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম ওরফে মোস্তাক আহম্মেদসহ (৫৫) আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মা সীমা বেগম।
ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ৭ নভেম্বর এই মামলাটি করা হয়। মামলায় ধারা দেওয়া হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (৩)/৩০। আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-মাদরাসার পরিচালকের ছেলে হামীম মিয়া (৩১), মাদরাসার শিক্ষা সচিব হোসাইন আহম্মেদ (৩২), প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ (৩২), মাদরাসার দারোয়ান আবুল (৪৫) কালাম, মহিলা শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তর নিপা (২৬), বুয়া রওশন আরা (৪০) ও রামপুরা আবু সাঈদ রেস্তোরাঁর মালিক আব্দুল আজিজ আকন্দ (৫৯)।
মামলার অভিযোগে সীমা বলেন, আমার মেয়ে সানজিদা রশিদ মীমকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর/অক্টোবর মাসে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করাই। মাদরাসায় আবাসিক ব্যবস্থা থাকায় মীম সেখানে থেকে পড়ালেখা করতো। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার মেয়েকে প্রতিদিনের মতো খাবার দিতে গেলে ৬ জন শিক্ষক আমাকে আমার মেয়ের সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলে। মেয়ে কোথায় জানতে চাইলে তারা বলে, ‘সে পড়ালেখা করছে।’ তাদের কথায় সন্দেহ হলে আমার স্বামীকে খবর দেই। বেলা ১১টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ আসে। পুলিশের সঙ্গে মামলার সাক্ষীরা ছাদে গেলে দেখতে পাই আমার মেয়ের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় এবং পা ছাদের ফ্লোরের সঙ্গে লাগানো। সাক্ষীরা পুলিশের নির্দেশে আমার মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ছাদের ফ্লোরে নামান। সাক্ষীরা ঝুলানো অবস্থা থেকে মৃত কন্যাকে নামানোর পর তার দুই হাতের কজ্বিতে কালো দাগ, পায়ের নিচে কাটা, রক্তাক্ত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধস্তাধস্তির কারণে জখমের চিহ্ন দেখেতে পাই।
আমার স্বামী মেয়ের লাশ আনতে হাতিরঝিল থানায় গেলে পুলিশ সারাদিন তাকে থানায় আটকে রাখে। মেয়ের লাশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে একটি কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেয়। এই বিষয়ে কোনো বাড়াবাড়ি না করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপস করার জন্য হুমকি দেয় পুলিশ। হত্যার বিষয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ বলে, ‘আমার স্বামী ইতোপূর্বে মামলা করেছেন।’ কোর্টে গিয়ে তার খবর নিতে বলে। কোর্টে গিয়ে দেখি মেয়ের মৃত্যুর বিষয়ে শুধুমাত্র তাছলিমা বেগমের নামে মামলা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তাছলিমা আক্তার নিপার বিরুদ্ধে সানজিদা রশিদ মীমকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেয়ার বিষয় সাক্ষ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় করা একটি মামলা বিচারাধীন। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর হামিম মিয়া নামে কোনো ব্যক্তিকে বাস্তবে পাওয়া যায়নি।
কোমরের পাশে দাগ ছিল, অন্যসব ছিল স্বাভাবিক
মীমের মৃত্যুর পর সুরতহাল করেন হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম। রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, সানজিদা রশিদ মীমের লাশ মাদরাসার পাঁচ তলার টিনশেটের সঙ্গে কমলা রঙয়ের ওড়নার দ্বারা ফাঁস লাগানো অবস্থায় পায়ের পাতা রুমের ফ্লোরে লাগানো অবস্থায় পাই। বুক, পেট ও পীঠ স্বাভাবিক ছিল। কোমরের ডান পাশে দাগ পরিলক্ষিত হয়। হাত ও মলদ্বার স্বাভাবিক ছিল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জিএম মিজানুর রহমান বলেন, মীমের লাশটির পা মেঝেতে লাগানো ছিল! ফ্লোরের সঙ্গে পা লাগানো থাকলে ফাঁস কীভাবে লাগাবে? আত্মহত্যাকারীদের মাথা সাধারণত একদিকে বাঁকা হয়ে হয়ে যায়। তার মাথা ছবিতে দেখা যায়, স্বাভাবিক মানুষের মতোই ছিল। বাদীর সামনে ঢাকা মেডিকেলে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসামির পক্ষে করার জন্য টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট সময় মতো না পাওয়ায় এবং তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভিকটিম মীমের লাশ পুনরায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব নয়। কারণ এতদিনে মৃতের লাশটি পচে গেছে। তাই পুনরায় ময়নাতদন্ত করে আর কিছু পাওয়া যাবে না। এভাবে হত্যাকাণ্ড আত্মহত্যা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আমরা নারাজি দেবো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, এ বিষয় আমি আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছি। আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা ইচ্ছা করলে প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিতে পারবেন।
মীমের বাবা হারুন মোল্লা বলেন, আমার মেয়েকে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার হুজুরেরা ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে। তাদের অনেক টাকা। তারা টাকা দিয়ে সব নিজের মতো করে নিয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
তিনি বলেন, আমি থানায় কোনো মামলা করিনি। কন্যার লাশ নেওয়ার জন্য পুলিশ জোর করে আমার কাছে থেকে স্বাক্ষর নেয়। এ বিষয় কোনো বাড়াবাড়ি না করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপস করার জন্য পুলিশ হুমকি দেয়।
সীমা বেগম বলেন, মাদরাসার পরিচালকের ছেলে হামীম মিয়া। ধর্ষণের মূল হোতা সে। ঘটনার পর তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। আমরা জড়িত নই বলে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়েছে। আর হামীম মিয়া নামে আমার কোনো ছেলে নেই।
উল্লেখ্য, রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসাটি ১৯৯২ সালে স্থাপিত হয়। এখানে বর্তমানে মাদরাসা সিলেবাসে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত এবং অন্যান্য জামাআতে পড়ানো হয়। এতে মক্তব, হিফজ ও কিতাব বিভাগ আছে। মাদরাসায় বর্তমানে ৭৮০ জন আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রী, ৪৫ জন শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারী আছে।
বর্তমানে মাদরাসাটি পরিচালনা করছেন চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম।
সূত্র জাগো নিউজ।
একাধিক বিয়ে করেছেন ছাত্রলীগ নেত্রী লাবণী!
একাধিক বিয়ে করেছেন ছাত্রলীগ নেত্রী লাবনী!
অনলাইন ডেস্ক
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে একাধিক পদধারী ‘বিবাহিত’ বলে বিতর্ক উঠেছে আরও আগেই। তবে এবার জানা গেল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সদ্য ঘো
ষিত ওই কমিটিতে উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদ পাওয়া মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া এই আলোচিত সুন্দরী বালিকা আফরিন লাবণী নাকি একাধিক স্বামীর ঘর করেছেন।
গেল সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা ঘোষণার তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার লাবণীর ব্যাপারে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লাবণী জবি থেকে বিবিএ (স্নাতক) সম্পন্ন করে বর্তমানে এমবিএতে পড়ছেন। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের গ্র্যান্ড ফাইনালে ‘তিনটি উইশ’ নিয়ে বিচারক ইমির প্রশ্নের হাস্যকর উত্তর দিয়ে ব্যাপক ট্রলের শিকার হন লাবণী।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিত ১৭ জন নয় বরং ৯৯ জন রয়েছে দাবি করে বিতর্কিতদের তালিকা প্রকাশ করেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা। সেখানেই বিতর্কিতদের তালিকায় উঠে আসে লাবণীর নাম। যেখানে লাবণীকে ‘একাধিক বিবাহিত’ বলে দাবি করা হয়।
তালিকায় দাবি করা হয়- জামালপুর কোর্টে ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট আতাউর রহমান আতিক নামে এক ব্যবসায়ীকেবিয়ে করেছিলেন লাবণী। ২ বছর সংসার করার পর ২০১৬ সালের ১৭ মে তাদের ডিভোর্স হয়। ব্যবসার পাশাপাশি কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হয়েছেন আতিক।
এদিকে বিয়ের কথা অকপটে অস্বীকার করে লাবণী বলেন, ‘আতাউর রহমান আতিকের সঙ্গে আমার বিয়ে বা বিচ্ছেদ কোনোটাই হয়নি। ২ বছর সংসার করা তো দূরের কথা, কখনও জামালপুর যাওয়াও হয়নি আমার। তবে আতাউর আমার পরিচিত।’
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং করতে ইডেন কলেজের হোস্টেলে থাকার সময় সোমা নামে এক রুমমেটের মাধ্যমে আতিকের সঙ্গে লাবণীর পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরেই তারা বিয়ে করেছিলেন।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু ১৯মে
প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু ১৯ মে
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১৯ মে থেকে প্রার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ছাড়াও প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ ও প্রবেশপত্র ডাউনলোডের তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, প্রার্থীরা পরীক্ষার ৫ দিন আগে থেকে প্রবেশপত্র (admit.dpe.gov.bd ) ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রার্থীদের ডাউনলোড করা প্রবেশপত্র প্রিন্ট দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্যান্য কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়ি জাতীয় বস্তু, ইলেক্ট্রিক ডিভাইস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ৪ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৪ মে এবং ৩১ মে নিয়োগের ১ম ও ২য় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শেষ দুই ধাপের পরীক্ষা আগামী ১৪ ও ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নতুন সময় অনুযায়ী ৩য় ধাপের পরীক্ষা ২১ জুন এবং ৪র্থ ধাপের পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখসমূহের মধ্যে ১৪ জুনের পরীক্ষা ২১ জুন এবং ২১ জুনের পরীক্ষা ২৮ জুন পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথম ধাপের ২৪ মে এবং ২য় ধাপের ৩১ মে অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষার সময় অপরিবর্তিত আছে। জেলাভিত্তিক প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার সূচি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মোট এক ঘণ্টাব্যাপী ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়ে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১৯ মে থেকে প্রার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ছাড়াও প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ ও প্রবেশপত্র ডাউনলোডের তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, প্রার্থীরা পরীক্ষার ৫ দিন আগে থেকে প্রবেশপত্র (admit.dpe.gov.bd ) ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রার্থীদের ডাউনলোড করা প্রবেশপত্র প্রিন্ট দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্যান্য কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়ি জাতীয় বস্তু, ইলেক্ট্রিক ডিভাইস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ৪ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৪ মে এবং ৩১ মে নিয়োগের ১ম ও ২য় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শেষ দুই ধাপের পরীক্ষা আগামী ১৪ ও ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নতুন সময় অনুযায়ী ৩য় ধাপের পরীক্ষা ২১ জুন এবং ৪র্থ ধাপের পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখসমূহের মধ্যে ১৪ জুনের পরীক্ষা ২১ জুন এবং ২১ জুনের পরীক্ষা ২৮ জুন পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথম ধাপের ২৪ মে এবং ২য় ধাপের ৩১ মে অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষার সময় অপরিবর্তিত আছে। জেলাভিত্তিক প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার সূচি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মোট এক ঘণ্টাব্যাপী ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়ে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বন্ধুর সঙ্গে বউ বদল, অতঃপর.....
বন্ধুর সঙ্গে বউ বদল, অতঃপর...
আদমদীঘিতে বউ বদলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধু রেজাউল ইসলামের(৪৫) ছুরিকাঘাতে বাদল হোসেন(৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার লোকো কলোনি দিঘির পাড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
জানা গেছে, নওগাঁ জেলা সদরের চক তারতা এলাকার রেজাউল ইসলামের সঙ্গে সান্তাহার শহরের বাদল হোসেনের জেলখানায় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পুলিশ জানায়, বাদল ও রেজাউল দুইজনই ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তারা নিজেদের বউ বদল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
চক তারতা এলাকার বাসিন্দা আবুল কাসেম জানান, গত তিন মাস আগে তারা পরস্পর বউ বদল করে। বউ বদল হলেও রেজাউল তার আগের বউ ফাতেমার সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ ও সম্পর্ক বজায় রাখে। ফাতেমার সঙ্গে দেখা করতে রেজাউল মাঝে মধ্যে বাদলের বাসায় যাতায়াত করতো। গত বুধবার দুপুরে রেজাউল বাদলের বাসায় গেলে দুইজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
পরে রাত ৯টার দিকে রেজাউল আবারো মোটরসাইকেল নিয়ে বাদলের বাসায় যায় এবং বাদলকে ছুরিকাঘাত করে পালায়। প্রতিবেশীরা বাদলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদল মারা যায়।
এ ব্যাপারে সান্তাহার টাউন ফাঁড়ির পরিদর্শক আনিসুর রহমান বলেন, বাদলকে হত্যার অভিযোগে শুক্রবার সকালে নিহতের পিতা শহীদুল ইসলাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। রেজাউলকে ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
ইত্তেফাক/এমআর
আদমদীঘিতে বউ বদলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধু রেজাউল ইসলামের(৪৫) ছুরিকাঘাতে বাদল হোসেন(৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার লোকো কলোনি দিঘির পাড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
জানা গেছে, নওগাঁ জেলা সদরের চক তারতা এলাকার রেজাউল ইসলামের সঙ্গে সান্তাহার শহরের বাদল হোসেনের জেলখানায় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পুলিশ জানায়, বাদল ও রেজাউল দুইজনই ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তারা নিজেদের বউ বদল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
চক তারতা এলাকার বাসিন্দা আবুল কাসেম জানান, গত তিন মাস আগে তারা পরস্পর বউ বদল করে। বউ বদল হলেও রেজাউল তার আগের বউ ফাতেমার সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ ও সম্পর্ক বজায় রাখে। ফাতেমার সঙ্গে দেখা করতে রেজাউল মাঝে মধ্যে বাদলের বাসায় যাতায়াত করতো। গত বুধবার দুপুরে রেজাউল বাদলের বাসায় গেলে দুইজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
পরে রাত ৯টার দিকে রেজাউল আবারো মোটরসাইকেল নিয়ে বাদলের বাসায় যায় এবং বাদলকে ছুরিকাঘাত করে পালায়। প্রতিবেশীরা বাদলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদল মারা যায়।
এ ব্যাপারে সান্তাহার টাউন ফাঁড়ির পরিদর্শক আনিসুর রহমান বলেন, বাদলকে হত্যার অভিযোগে শুক্রবার সকালে নিহতের পিতা শহীদুল ইসলাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। রেজাউলকে ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
ইত্তেফাক/এমআর
Subscribe to:
Posts (Atom)
-
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি...
-
একাধিক বিয়ে করেছেন ছাত্রলীগ নেত্রী লাবনী! অনলাইন ডেস্ক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে একাধিক পদধারী ‘বিবাহিত’ বলে বিতর্ক উঠে...